WELCOME TO OFFICIAL WEBSITE OF WEST BENGAL COLLEGE & UNIVERSITY TEACHERS'ASSOCIATION.
OUR OTHER WEBSITE - wbcupta.blogspot.com
Secretary- Srimanta Pal
Phone no -
West Bengal College & University Teachers' Association
Sec- Srimanta Pal
email- srimantap19@gmail.com
WBCUTA একটি নিরপেক্ষ শিক্ষক সংগঠন বলে নিজেদের দাবী করে। এই সংগঠনের একদা সেক্রেটারী সুদশর্ন রায়চৌধুরী এখন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী। স্বভাবতই তাদের কাছে ওয়েবকুটা ও পার্টটাইম সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন আমি করতে চাই।
১) “ CHARTER OF DEMANDS ON THE IMPLEMENTATION OF
MHRD NOTIFICATION ON THE UGC PAY SCALES
FOR COLLEGE AND UNIVERSITY TEACHERS
SUBMITTED TO THE MINISTRY OF HUMAN RESOURCES DEVELOPMENT,
DEPARTMENT OF HIGHER EDUCATION AND THE UNIVERSITY GRANTS COMMISSION AT NEW DELHI ON 5-1-2009
(12) Appropriate scales should be implemented for Part-time Teachers Tutors/Demonstrators/ Accompanists/Coaches” [1]
এর পরিপেক্ষীতে আমাদের প্রথম প্রশ্ন হল সবর্ভারতীয অধ্যাপক সংগঠন তার দাবীসনদের ১২ নম্বর দাবী হিসাবে পার্টটাইম শিক্ষকদের যথোপযুক্ত স্কেল চালু করার কথা বলা হয়েছে। এই দাবীতে পার্টটাইম শিক্ষদের সংগঠিত করার কাজে ওয়েবকুটা কি ভুমিকা গত কয়েকবছরে নিয়েছে , বা নিলেও তা পার্টটাইম শিক্ষকদের অবগত করার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি কেন? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল – ভারতে উচ্চশিক্ষকতায় নিযুক্ত পার্টটাইম শিক্ষকদের সংখ্যা ফুলটাইম শিক্ষকদের তুলনায় কম নয় । সেক্ষেত্রে এই দাবী ১ নম্বর দাবী না হয়ে ১২ নম্বর দাবী কেন ?
২) সাধারন বামপন্থী আদর্শ হল কেউ কোন জীবিকাতে যুক্ত থাকলে তাকে কর্মচ্যুত না করা। এ কারনেই যে কোন চাকরির নিরাপত্তা তাদের অন্যতম দাবী। ভাগচাষীর জমিতে অধিকার তারা দাবী করে। ভাড়াটে কে গৃহচ্যুত না করার তারা দাবী করে। পার্টটাইম দের ক্ষেত্রে এ জাতীয় কোন দাবী তারা করে কি ? AIFUCTO পার্টটাইমদের স্কেল চালু করার দাবীর মাধ্যমে তাদের চাকরির নিরাপত্তাই দাবী করছে। তারা মনে করছে পার্টটাইম শিক্ষকতা একটি জীবিকা। পশ্চিমবঙ্গে কোন পার্টটাইম শিক্ষকের চাকরির নিরাপ্ত্তার জন্য ওয়েবকুটা কি ধরনের ভুমিকা আগে নিয়েছে বর্তমানে নিচ্ছে বা ভবিষ্যতে নেবে ?
৩) জাতীয় অর্থনীতির বাধ্যবাধকতায় গত কয়েক বছর পুর্বে প্রায় ১ দশক ধরে পুর্ন সময়ের শিক্ষক নিয়োগ সে রকম হয়নি। ফলে পশ্চিম বঙ্গে বহু উচ্চশিক্ষিত ছেলে মেয়ে পার্ট টাইম শিক্ষকতাকে জীবিকা হিসাবে মেনে নিয়েছে। ওয়েবকুটা কি মনে করে এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষার কোন উন্নতি হয়নি। যদি হয়ে থাকে তবে ওয়েবকুটা কি মনে করেনা যে পার্টটাইম শিক্ষকরা পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষার উন্নতিতে সহায়ক। যদি সহায়ক হয় তা হলে তাদের নিরাপত্তার দাবীর উর্দ্ধে পুর্ন সময়ের শিক্ষক নিয়োগের দাবী ওয়েবকুটা কিভাবে করে? পার্টটাইম শিক্ষক রা যদি উচ্চশিক্ষার উন্নতির পরিপন্থী হয় তা হলে AIFUCTO তাদের স্কেল চালুর দাবী করছে কেন?
৪) ওয়েবকুটা সবধরনের কলেজ শিক্ষকের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে তা হলে এই সংগঠনে গুরুত্বপুর্ন পদে পার্টটাইম শিক্ষক রা নেই কেন?
৫) ওয়েবকুটার যে কোন ধরনের সম্মেলনে পার্টটাইম শিক্ষকদের সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা অত্যন্ত দায়সারা ভাবে করা হয় কেন?
৬) বিভিন্ন কলেজে পার্টটাইম শিক্ষকরা একটি সংগঠন “পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অংশকালীন অধ্যাপক সমিতি” নামে একটি সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহন করছে। এই সংগঠন যদিও বিভিন্ন ইস্যুতে সরাসরি CPIM কে সমর্থন করছে। তা স্বত্বেও আশ্চর্য় জনক ভাবে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন কলেজের পুর্ন সময়ের শিক্ষক যারা ওয়েবকুটার সদস্য তারা এর বিরোধীতা করছে। এবং এই সংগঠন করার অপরাধে কোন কোন পার্টটাইম শিক্ষক কর্মচ্যুত হয়েছেন । যেখানে সমাজবিরোধী সংগঠন বা উগ্রপন্থী সংগঠন ছাড়া কেন সংগঠন ভারতে নিষিদ্ধ নয় সেখানে এই সংগঠনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়েবকুটার আদর্শগত অবস্থান কি? য়দিও পশ্চিমবঙ্গে অধ্যক্ষদের নিজস্ব একটি সংগঠন আছে। এতে শিক্ষক আন্দোলন কি দুরবল হচ্ছে ? যদি হয় তবে ওয়েবকুটা তার বিরোধীতা করেনা কেন? পার্টটাইম শিক্ষক রা কি নিজস্ব সংগঠন করতে পারে নাবিশেষ করে যেখানে একটি কলেজে পূর্ণসময়ের শিক্ষক ও আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন ও নিরাপত্তার বৈষম্য এত বেশী ? জাতীয় আন্তজার্তিক এত বিপদ থাকা স্বত্বেও WBCUTAর প্রধান শত্রু পার্টটাইমরা ! ওয়েবকুটার এই ভূমিকা কি ফ্যাসিস্ট নয়।
৭)শ্রদ্ধেয় উচ্চশিক্ষামন্ত্রী মাননীয় সুদর্শন রায়চৌধুরী যিনি পার্টটাইম শিক্ষকদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভুতি শীল তিনি য়থার্থ ভাবে ওয়েবকুটার রাজসম্মেলনে কিছু পুর্ন সময়ের শিক্ষকদের সমালোচনা করেছেন যারা পার্টটাইম শিক্ষকদের স্বার্থ বিরোধী ভুমিকা নিতে তৎপর। এই সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা সম্পন্ন তথাকথিত শিক্ষকদের প্রতিহত করতে ওয়েবকুটা কি ধরনের ভূমিকা নিতে চলেছে ?
৮) শোনা যাচ্ছে পার্শশিক্ষকদের নাকি সরকার স্থায়ী করন করতে চলেছে। অত্যন্ত আনন্দের কথা। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সরকারী বিভাগে অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করতে নাকি সরকার উদ্যোগী হচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গে উচ্ছশিক্ষায় যে অস্থায়ী শিক্ষকদের ভুমিকা সবথেকে উল্লেখযোগ্য তাদের বিষয়ে কিছু ভাবা হচ্ছেনা কেন। তাদের কর্মচ্যুত করেই কি উচ্চশিক্ষায় একমাত্র উন্নতি সম্ভব। কোন বিকল্প কি নেই।
NITAI CH MANDAL
TARAKESWAR DEGREE COLLEGE
